এখন সন্তানেরা চিনে না- সুজি, ময়দা, আটা,
জানে না কতটা পুষ্টি ঢেঁকিতে চাল ছাঁটা।
চিনে না ডাল-মুগ, মসুর, ছোলা, মটর, অড়হর,শীমবীজ।
জানেনা ঘী, মাখন, পনীর আর কিভাবে হয় চীজ।
দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, সরষে,জিরা, জোয়ান ,সন্তান কে চিনতে দিন, পার্থক্য বোঝান।
আলু, আদা, হলুদ, পেঁয়াজ, মৌরি, রসুনের গাছ,
চিনতে শিখান মসলা সব, রান্নায় লাগে বারো মাস।
মেথি, পালং, খুরি, লাল কলমী শাকের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে শেখান।
ফলে ভরা গাছ দেখান, আর রংবেরং এর ফুলে ভরা বাগান ।
পার্থক্য বোঝান,গাই গরু-ষাঁড় আর বলদের,গাধা-ঘোড়া-ভেড়া ও খচ্চরের।
সন্তানকে দেখান, কিভাবে গরু-মোষ- ছাগল-ভেঁড়ার দুধ দোওয়ানো হয়।
খেলতে শেখান,সন্তানকে মাটি জল-কাদায়।
বর্ষার জলে ভিজতে শেখান,শেখান প্রখর রোদ্দুরের তাপে ঘামতে।
মানুষের সাথে মিশতে শেখান, আত্মীয়-স্বজন চিনতে শেখান, শেখান বয়োজ্যেষ্ঠদের মানতে।
নম্র-ভদ্র ব্যাবহার শেখান,খুটিনাটি কাজকর্ম শেখান,করতে শেখান পিতা-মাতার কাজে সাহায্য।
স্রষ্টাকে চিনতে শেখান, স্রষ্টার বিধান মানতে শেখান,সিদ্ধান্ত নিতে শেখান ন্যায্য।
মানুষের প্রতি ভালোবাসা শেখান, শেখান মায়া মমতা।
যেনো দানে, অবদানে হাত খোলা থাকে রাখতে সমাজে সমতা।
বেশি সময় যেন সন্তান না থাকে মোবাইল ফোন,
কম্পিউটারে,যেনো যন্ত্রের সাথে যন্ত্র না হয়ে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে।
যে কোনো প্রতিকুলপরিস্থিতির সাথে,নিজেকে যেনো পারে মানিয়ে নিতে।
অভাব বুঝান, ধৈর্য্য শেখান, বেশি টাকা দিলে হাতে,হতে পারে বিপরীত হিতে।
প্রিয় কাকা Zahid Khan