হোম মেইড খাবারের দাম নিয়ে যাদের অভিযোগ


হোম মেইড খাবারের দাম নিয়ে যাদের অভিযোগ তাদের কথাও অনেক শুনেছি। আমার মনে হয়েছে তারা দুটি ভুল করেন।
১। তারা হোম মেইড খাবারের সাথে রেস্টুরেন্টের খাবারের দামকে মিলিয়ে ফেলেন। রেস্টুরেন্ট তো পাড়ায় পাড়ায় আছে। তারপরেও আমরা হোম মেইড ফুড অর্ডার করে বেশি দাম দিয়ে কিনে খাই কেন? তিনটি কারনে।
প্রথমতঃ রেস্টুরেন্টে আপনি সব আইটেম পাবেন না। যেমন পুরা মোহাম্মাদপুর খুজেও আমি চিংড়ি ভর্তা পাই না, খাসির কলিজা ভুনা সকাল ১০ টার পর পাই না। এমনি অনেক কিছুই পাই না। হোম মেইড ফুডের উদ্যোক্তাদের থেকে সব কিছুই পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্ট চলে পাইকারি হিসেবে। মানে তাদের সেল অনেক বেশি তাই তারা উপকরন এক সাথে অনেক বেশি কিনতে পারে। আর হোম মেইড উদ্যোক্তাদের চলতে হয় খুচরা সেলের হিসেবে।
দ্বিতীয়তঃ হোম মেইড ফুড অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর এবং ভাল উপকরন ব্যবহার করা হয়। এর ফলে দাম বেশি হবেই। যেমন হোটেলের ভাজা পোড়া আইটেম খেলে শরীর খারাপ লাগে। হোম মেইড ফুডের উদ্যোক্তাদের খাবারে সে দিকে সমস্যা নেই।
তৃতীয়তঃ স্বাদ। হোম মেইড ফুডের অনেক উদ্যোক্তার খাবার বেশ মজার। যে কোন হোটেলের থেকেও মজার আইটেম বিক্রি করেন তাদের কেউ কেউ। আর অর্ডার দেবার সময় আপনি বলে দিতে পারেন কেমন খাবার চান। মাংস বেশি সিদ্ধ চান নাকি একটু শক্ত। ফিরনি বেশি মিষ্টি চান নাকি হালকা মিষ্টি ইত্যাদি। হোটেলের খাবারে সেই অপশন নেই।
২। অনেকেই হিসেবে করেন জিনিসপত্রের দাম। মানে ধরেন চিকেন কাবাবে মুরগির মাংসের দাম হিসেবে করেন শুধু। এর সাথে আরো অনেক আইটেম লাগে তা হিসেব করে না। আরেকটা ব্যপার হল উদ্যোক্তাদের কাজের মূল্য তারা ধরেন না। খাবার তো রান্না করতে হয়, রান্না ঘরের আগুনের তাপে ঘেমে। তাই তাদের কাজের মূল্য আছে এবং সেই মূল্য তারা হিসেব করবেন এটাই হওয়া উচিৎ।
১১ মাস আগের পোস্ট

2 Replies to “হোম মেইড খাবারের দাম নিয়ে যাদের অভিযোগ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *