
ঈমান রক্ষার জন্য দু’আ
رَبَّـنَـا لاَ تُـزِغْ قُـلُـوْبَـنَـا بَـعْـدَ اِذْ هَـدَيْـتَـنَـا وَهَـبْ لَـنَـا مِـنْ لَّـدُنْـكَ رَحْـمَـةً اِنَّـكَ اَنْـتَ الـوَهَّـابُ
রাব্বানা লা তুযিগ্ ক্বুলুবানা বা’দা ইয্ হাদায়তানা ওয়া হাব্লানা মিল্লা দুনকা রাহমাহ্ ইন্নাকা আংতাল ওয়াহ্হাব।
হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ-প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লঙ্ঘন বা বক্র করো না এবং তোমার নিকট থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর। নিশ্চয়ই তুমি মহা দাতা।
(সূরা আল ইমরান, আয়াত : ৮)
জামে’ আত-তিরমিজি,হাদিস নাম্বারঃ ৩৫২২
হাদিসটি বিশুদ্ধ।
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِي كَعْبٍ، صَاحِبِ الْحَرِيرِ حَدَّثَنِي شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ، قَالَ قُلْتُ لأُمِّ سَلَمَةَ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ مَا كَانَ أَكْثَرُ دُعَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ عِنْدَكِ قَالَتْ كَانَ أَكْثَرُ دُعَائِهِ ” يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ ” . قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لأَكْثَرِ دُعَائِكَ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ قَالَ ” يَا أُمَّ سَلَمَةَ إِنَّهُ لَيْسَ آدَمِيٌّ إِلاَّ وَقَلْبُهُ بَيْنَ أُصْبُعَيْنِ مِنْ أَصَابِعِ اللَّهِ فَمَنْ شَاءَ أَقَامَ وَمَنْ شَاءَ أَزَاغَ ” . فَتَلاَ مُعَاذٌ : ( ربَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا ) قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَالنَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ وَأَنَسٍ وَجَابِرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَنُعَيْمِ بْنِ هَمَّارٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
শাহর ইবনু হাওশাব (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, উম্মু সালামাহ (রাযিঃ)-কে আমি বললাম, হে উম্মুল মু’মিনীন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার কাছে অবস্থানকালে অধিকাংশ সময় কোন দু’আটি পাঠ করতেন? তিনি বললেন, তিনি অধিকাংশ সময় এ দু’আ পাঠ করতেনঃ
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ
“হে মনের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর স্থির রাখ”।
উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি অধিকাংশ সময় “হে মনের পরিবর্তনকারী! আমার মনকে তোমার দ্বীনের উপর স্থির রাখ” দু’আটি কেন পাঠ করেন? তিনি বললেনঃ হে উম্মু সালামাহ! এরূপ কোন মানুষ নেই যার মন আল্লাহ তা’আলার দুই আঙ্গুলের মধ্যবর্তীতে অবস্থিত নয়। যাকে ইচ্ছা তিনি (দ্বীনের উপর) স্থির রাখেন এবং যাকে ইচ্ছা (দ্বীন হতে) বিপথগামী করে দেন।
তারপর অধঃস্তন বর্ণনাকারী মুআয (রহঃ) কুরআনের এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) “হে আমাদের রব! আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করার পর তুমি আমাদের অন্তরসমূহকে বাকা করে দিও না”। (তিরমিযী – ৩৫২২)